সিলেটে দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়ি
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
বাড়ি নয় যেন রাজপ্রসাদই বানালেন সিলেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান। বাংলাদেশের এ যাবত কালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়ি হিসেবে আলোচনায় উঠে এসেছে সিলেটের “কাজি ক্যাসল”। সিলেটের ইসলামপুর এলাকায় নির্মিত বাড়িটি লোক দেখানোর জন্য নয়, পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে থাকার জন্য নির্মাণ করেছেন মাহতাবুর রহমান। চার দেশের প্রকৌশলীর ছোঁয়া আর প্রায় আড়াইশ নির্মাণ শ্রমিকের আট বছরের পরিশ্রমে নির্মিত বাড়িটি সবারই নজর কেড়েছে।
তিনতলার এই বাড়িটির বিল্ডার এরিয়া প্রায় ৮০ হাজার স্কয়ার ফিট। পাঁচ হাজার মানুষের অনুষ্ঠান করার বন্দোবস্ত আছে এই বাড়িতেই। পারিবারিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য রয়েছে পৃথক কক্ষ।
প্রাসাদসম এ বাড়ির নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধতার পাশাপাশি বাড়িটির প্রতি সাধারণ মানুষের কৌতুহল দিনদিন বেড়েই চলেছে। প্রায় আট একর জায়গার ওপর নির্মিত এই বাড়িটির ছাদে রয়েছে হেলিপ্যাড, সুইমিংপুল, স্টিমবাথ, লিফটসহ আধুনিক স্নানাগার।
ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান বলেন, দুবাই থেকে একজন ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে এসেছিলাম। তিনি প্রথমে ডিজাইনটা করেছিলেন। পরবর্তীতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনটা দিয়েছিলাম একজন লেবানিজকে। পুরো বাড়িটির লাইটিংয়ের কাজ করেছেন জার্মানের কোম্পানি টিফেনি লাইটিং। আর ফ্লোরগুলো করে দিয়েছে ফ্রান্সের একটি কোম্পানি।
জানা যায়, প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছে এই বাড়িটি। নির্মাণব্যয় নিয়ে বাড়ির মালিক মাহতাবুর রহমান বলেন, আমি নিজের ব্যবহারের জন্য বাড়ি করেছি, তাই এটা নির্মাণে কত ব্যয় হয়েছে আমি তা হিসাবে করে দেখিনি।
মাহতাবুর রহমান জানান, ২৯টি মাস্টার বেডের ডিজাইন করা হয়েছে ২৯টি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আলোকে। ভবনের শুধু নিচতলায় রয়েছে ৯টি ডাইনিং রুম, ১৪টি ড্রইং রুম, আছে দুটি লিফট।
“কাজি ক্যাসল” নামের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ঢুকলেও জানা যাবে এ বাড়ির খুটিনাটি। রাত হলেই লাইটিং দিয়ে একের পর এক রঙের খেলায় মেতে উঠে পুরো বাড়ি। আলোর এমন ঝলকানি আগে কখনো দেখেননি সিলেটের মানুষ।
তিনি বলেন, আমি থাকার জন্য বাড়িটি তৈরী করেছি, রুচির মধ্যে যদি ভালো হয়ে যায় তাহলে আমার কিছু করার নেই। আমি বাংলাদেশের মধ্যে বড় বাড়ি বানাবো এটা কখনোই আমার স্বপ্ন ছিলো না। আমার স্বপ্ন ছিলো আমার ভাই-বোনসহ পরিবারের সবাই কোনো প্রোগ্রামে একসঙ্গে থাকবো। সেজন্যই বাড়িটি বানানো।
উল্লেখ্য, ‘কাজি ক্যাসল’-এর স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড আল-হারামাইন পারফিউমস গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক টানা তিনবার সিআইপি নির্বাচিত হন।
প্রতিক্ষণ/এডি/আরএম